বড় পর্দায় কাজ করে মুন্সীগঞ্জ বাসীর গর্ব হয়ে থাকতে চান পলক  

সংস্কৃতি ডেস্কঃ 
নায়ক সাকিব খানের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হই। আগ্রহ জাগে অভিনয়ের প্রতি। এ আগ্রহ থেকেই নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলা হয় এবং সেখানে কাজ করতে শুরু করি। কিছুদিন পর চোখে পড়ে দারকাক প্রোডাকশন হাউজ এর নতুন মুখের সন্ধানে নামক একটি বিজ্ঞাপনে। সুযোগটি হাতছাড়া না করে সাথে সাথে অডিশন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাই। দারকাক প্রোডাকশন হাউজ’র ডিরেক্টর তানভীর সোবহান, ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর সাইফুল আলম ও সহকারি ডিরেক্টর বর্ষন মোহাম্মদ ভাইয়ের কাছে অডিশন দেই। “রিভেঞ্জ ব্যাক ইন এ্যাকশন” নামক একটি শর্ট ফিল্মে  এস. কে রায়হান আব্দুল্লাহ ভাইয়ের সাথে কাজ করার সুযোগ পাই। এর পরবর্তীতে ২০১৮ সালে বিরোহী মাল্টিমিডিয়ার কর্নধার জনাব বিরোহী মোক্তারের মাধ্যমে “ সোকিনার চন্দ্রবালা” নামক নাটকে সুযোগ পাই। যা চ্যানেল আই তে সম্প্রচারিত হয়েছিল। এই নাটকে কাজ করেছেন নাজনিন চুমকি ও শতাব্দি ওয়াদুদ। এভাবেই দৈনিক মুন্সীগঞ্জের খবর’র খবরকে বলেছিলেন শেখ ফরিদ পলক।
শেখ ফরিদ পলক মুন্সীগঞ্জের উদীয়মান তরুন একজন অভিনেতা। তিনি এ পর্যন্ত বহু নাটকে অভিনয় করেছেন। ২০২০ সালে ইউটিউব এ ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক পেত্যা ভাইয়ের বিবাহ বিভ্রাট নামক নাটকে কাজ করেন। এছারাও তিনি বহু শর্টফিল্ম  এ অভিনয় করেন। এর মধ্যে উল্লোখ্যযোগ্য রিভেঞ্জ ব্যাক ইন এ্যাকশন, কিউটিপাই, মানুষের জন্য মানবতা ইত্যাদি। তিনি “ঘুম সোহেল” নামক নাটকে সাফা কবির ও তৌসিফ মাহবুবের সাথেও কাজ করেছেন। নাটকটি একুশে টিভিতে সম্প্রচারি হয়েছে এবং ইউটিউবে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখেছেন। এরপর তিনি ও.টি.টি প্লাটফর্ম মেহেদী হাসান জনির চিত্র নাট্য পরিচালনায় ছিলেন “হেরে যাওয়ার গল্প” নামক ওয়েব সিরিজে  শ্যামল মাওলা ও মারিয়া নুরের সাথে কাজ করেছেন। এই ওয়েব সিরিজটি ব্যাপক আলোরিত হয়েছিল। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা মেহজাবিন চৌধুরী অভিনিত “ঝগরায় পারফেক্ট” নামক নাটকেও কাজ করেছেন। যা আজ এনটিভিতে সম্পাচারিত হবে। 
পলক “সুইট সিক্সটিন” নামক নাটকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। নাটকটির সুটিং কার্য সমাপ্ত হয়েছে এখন শুধু মুক্তির অপেক্ষায়। এছাড়াও তিনি রুস্তম সিনেমায় নতুন মুখের সন্ধানে অডিশন দিয়ে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন। যার সুটিং খুব শিগ্রই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 
এই গুনি শিল্পি একাধারে অভিনেতা, প্রযোজক, গল্প লেখক । তার রচিত ও পরিচালিত নাটগুলোর মধ্যে কিউটিপাই, মানুষের জন্য মানবতা, বৈষম্য, প্রত্যাবর্তন, গল্পের নাম তুমি উল্লেখ্যযোগ্য। এঝাড়াও তিনি রেডিও বিক্রমপুরের আর, জে হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। শ্রোতা জরিপে তিনি প্রথম স্থান লাভ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি “পলক এন্টারটেইনমেন্ট” চ্যানলের একজন প্রযোজক।
পলক বলেন, “আজ এ পর্যন্ত আসার পিছনে আমার বাবার অবদান সবচেয়ে বেশি। তিনি সবসময় আমাকে যোগিয়েছেন”। তিনি আরও বলেন, “আমি বড় পর্দাায় কাজ করতে চাই। যাতে আমার বাব এবং মুন্সীগঞ্জ বাসী আমায় নিয়ে গর্ববোধ করতে পারে।” 
শেখ ফরিদ পলক সদর উপজেলার নয়াগাও পশ্চিমপাড়া গ্রামের শেখ বাড়ীর পুত্র। পিতা মো. সাইফুল ইসলাম, পেশায় চাকরিজীবী। মুন্সীগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। বর্তমানে ওয়েস্টার্ন আইডিয়াল ইনস্টিটিউট থেকে ডিল্পোমা করছেন।